প্রেমাংশু শ্রাবণ কবিরের কবিতা


এসো-আমাকে ছোঁও

সো।
ছোঁও।
সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কি,দ্যাখো।

পাথরের বুক থেকে মাংস নাও,
পাঁজরের রিভে রিভে চাপ দাও 
দশটি আঙুলে আমাকে বাজাও তুমি 
বিটোফেন-বালিকার হাত।

বলো,আমি প্রত্ন নই,
নই অন্ধ জমাট খনিজ, 
বলো,সব শেষ নই,
এখনো আমার কিছু সম্ভাবনা আছে। 

বিকেলে সূর্যাস্ত দেখার সাধ
মেটেনি কুসুম। 
ভুলে যাওয়া নিয়ে গেছে 
ভুল সিন্ধু পারে। 
সেখানে মুখোশ,পরচুলো
বালির সাদায় ওড়ে দূরতম হাসি। 

গাঢ় শোচনার রঙে সন্ধ্যা নামে,
ডেকে ওঠে হাড়গিলে, 
অসুখী শকুন 

বিকেলে সূর্যাস্ত দেখার সাধ
মেটেনি কুসুম। 
দ্যাখো,কতখানি দীন হয়ে গেছি 
আশায় আশায়.... 
কত বেশি পেতে চেয়ে 
নিজেকে ভেঙেছি অন্ধ ভ্রুক্ষেপবিহী,
ছেঁড়া শিমুলের আঁশে উড়িয়েছি সর্বস্ব আমার

দাও,দাও হাহাকারে কখন উঠেছে জেগে 
বেজুনাথ--প্রধান চন্ডাল।
সুনীলে পাতালে এখন যে দিকে চাও 
ব্যথিত প্রশ্নের হাড়,করোটি কঙ্কাল।

মকরবাহিনী জলে পোশাক ভাসিয়ে 
আজ এসে দাঁড়িয়েছি
স্পর্শ করো, 
অগ্নিতে সঁপেছি স্বাহা, অহংকার।
রাখো,
ভাঙো,
মারো,

তুলনা মুলক প্রেমে সারারাত জেগে থাক 
আমাদের কাঠ ও করাত,
আমাকে বাজাও তুমি 
বিটোফেন বালিকার মত।

কবি প্রেমাংশু শ্রাবণ কবির
যশোর, বাংলাদেশ 






















0 Comments