꩜ পাভেল ঘোষ🔸শক্তিগড়,পূর্ব বর্ধমান🔸
গত বছরে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ঘটেছিল রোহমর্ষক ঘটনাটা।তারিখ মনে না থাকলেও বারটা বিলক্ষণ মনে আছে...। 'শনিবার'।বাড়িতে নিরামিষের বাঁধা দিন। মায়ের হাতে ডাল পোস্ত জমিয়ে খেয়ে রওনা দিয়েছিলাম ছোড়দির বাড়ি।সেদিনেই স্কুলে ছুটি পড়বে কালীপূজা উপলক্ষে। তাই আগে থেকে প্ল্যান প্রোগ্রাম করে নিয়েছি। বাড়ি থেকে স্কুল হয়ে সোজা হাওড়া স্টেশন। যদিও ট্রেন সেই রাত আটটায়। বোম্বে মেল।রায়পুর গেলে এই ট্রেনটা আমার বাঁধা।
বহুদিন ছোড়দির হাতে ভাইফোঁটা নিই না। মাস তিনেক আগে একদিন ফোনে বলেছিলাম ছোড়দিকে.. "এবার কালিপুজোয় তোকে একটা সারপ্রাইজ দেবো..!" জলের মতো নব্বই দিন কোথা দিয়ে যে চলে গেল,বুঝতেই পারি নি।
পৌনে সাতটার মধ্যে হাওড়ায় ঢুকে পড়লাম। লাগেজ বিশেষ নেই। দিন তিনেকের সফর। ভাইফোঁটা নিয়েই ফিরে আসা। যাওয়ার দিনেই আসার দিন নিয়ে চিন্তা। ফেরার দিন স্কুলে যেতে পারবো তো? তিনদিনে কমপক্ষে গোটা পনেরো আইটেম। একটাই ভয়,পেট খারাপের।
টু টায়ার এসিতে লোয়ার বার্থটা আমার ছিল। নম্বর মনে নেই। মিথ্যে বলবো না।
ঠিক কাঁটায় কাঁটায় আটটায় দিলো ট্রেনটা ছেড়ে । এক রাতের জার্নি। পরের দিন ন'টার মধ্যেই রায়পুর। ট্রেন থেকে নেমেই টুবুলদার হাসি মুখে আপ্যায়ন..."আরে এসো,এসো। কেমন আছো?সব ঠিক তো?"
এই হার্দিক টানে প্রায় প্রতি বছরই রায়পুর ছুটে যাই। চিন্তার জগৎ ছেড়ে কদিন নিশ্চিন্তে হাত পা ছুড়ে
শুধু ল্যাদ খাওয়া।ওঃ.. কি শান্তি।
"এটা আপনার সিট?" এক ভদ্রমহিলার ডাকে মাথা উঁচু করে সায় দিলাম।
"হ্যাঁ.. কেন বলুন তো?"
"আমি আসলে ভুল করে পাশের বগিতে উঠে পড়েছিলাম।
আপনার উপরের দুটো সিট আমাদের।"
ভদ্রমহিলা বেশ সুশ্রী। দেখলেই একটা সম্ভ্রম জাগে। মা দুর্গার মতো মুখের ধরন।কিন্তু চোখে অপার স্নিগ্ধতা। গাঢ় করে কাজল দেওয়া টানা টানা চোখ।
উঠে দাঁড়ালাম।হয়তো মুগ্ধতায়।
"বেশ তো..। আসুন না। আপনি কি একা?"
"না,না..আমার হাসবেন্ড আর মেয়ে আছে সঙ্গে।"
"ও...আচ্ছা।"
"একটা রিকোয়েস্ট ছিলো ভাই.." বাঁ দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি এক দীর্ঘদেহী সুঠাম ভদ্রলোক। কোলে বছর তিনেকের একটা কিউট বাচ্ছা।সত্যি এত নিখুঁত দর্শন শিশু আমি খুব কম দেখেছি। মনে হয় কোনো চিত্রকর এঁকে প্রাণ দিয়েছে জাদুকাঠির ছোঁয়ায়।
"বলুন..." আমি হাসিমুখে বলতেই উনি বললেন,"আপনার যদি কোনো অসুবিধা না থাকে,আপনার লোয়ার বার্থটা যদি আমাদের...."
"না না কোনো অসুবিধা নেই। আমি আপারে চলে যাচ্ছি.."
সাড়ে ন'টার মধ্যে খেয়ে নিলাম।ট্রেনে একা
কোথাও গেলে দুটো রুটি, আলুভাজা আর
একটা মিষ্টি..ব্যাস।আমার খাওয়া শেষ।
"আপনার হয়েছে ভাই...আমরা তাহলে এবার
একটু খেতে বসবো..।"
ভদ্রলোকের কথা শুনেই আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম। হাসিমুখে বললাম ,"অবশ্যই।"
কখন ট্রেনটা থেমে গেছে খেয়াল করিনি। জানলা থেকে পুরি সবজি করে একটা হাঁক শুনলাম। উঁকি মেরে দেখি খড়গপুর। আমার সিটে বসে থাকা ভদ্রলোকটি মুখে এক খন্ড রুটি নিয়ে পড়িমরি করে উঠে পড়লেন।
"কোথায় যাবেন?" আমি জিজ্ঞাসা করতেই উনি বললেন,"জল নেই,আনতে হবে.."
"মিনিট দশেক দাঁড়াবে। ধীরে সুস্থে যান।"আমার ছোট্ট পরামর্শ ওনার কানে পৌছালো না।
উনি পায়ে যেমন তেমন করে চটিটা গলিয়ে প্রায় ছুট লাগলেন। ওনার শিশু কন্যাটি বাবার যাওয়ার ভঙ্গী দেখে খিল খিল করে হেসে উঠলো। আমি মুচকি হেসে ঠোঁটের উপর তর্জনী রেখে চুপ করতে বললাম ওকে। সঙ্গে সঙ্গে জিভ বার করে আমায় ভেংচি কেটে মুখটা নিলো ঘুরিয়ে।ও আর আমিই শুধু বুঝলাম। সত্যি এজন্যই বলে,শিশুর মধ্যে দেবতারা বাস করেন।
কিছুক্ষন পর দুটো দু লিটারের বোতল নিয়ে ভদ্রলোক ফিরে এলেন।
"আমাকে একটু বসতে দাও..আর পারছি না..." আমি বার্থে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ওনার কথা শুনে চকিতে সরে এলাম। সিটে বসে উনি এমন হাঁপাতে লাগলেন,মনে হলো,প্রাণটা বুঝি এবার বেরিয়ে যাবে।
"মৌসুমী জলটা দাও..!" কথা বলতে গিয়ে ওনার চোখদুটো ঠেলে বেরিয়ে আসছে মনে হলো।
সঙ্গে সঙ্গে সিটের উপর থাকা জলের বোতলটা ওনার স্ত্রী এগিয়ে দিতেই চাতকের মতো এক নিঃশ্বাসে জল খেতে লাগলেন। ওনার স্ত্রীর চিন্তাক্লিষ্ট মুখটা আমার নজর এড়ালো না।
"সামান্য জল আনতে গিয়ে উনি এমন হাঁপিয়ে গেলেন?" ভদ্রমহিলার দিকে ফিসফিস করে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলাম।
উনি ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালেন। মুখে টুঁ শব্দটিও করলেন না। বুঝলাম সমস্যাটা আজকের নয়।
ট্রেনটা ছাড়তেই ওনারা ডিনার শুরু করলেন।কিন্তু ডিশে কচুরি,আচার,চানাচুর,তেলে টইটুম্বুর
ডিমের কালিয়া দেখে একটু অবাকই হলাম।
যিনি সামান্য জল আনতে গিয়ে এমন হাঁপিয়ে ওঠেন,তার এমন খাওয়া দাওয়া..!
"আপনি বসুন,আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি..."
ভদ্রলোক হাসিমুখে তেলমাখা হাত দিয়ে আমায় বসতে সম্মোধন করলেন।
"বসছি..কিন্তু একটা কথা..."
"বলুন.."
"আপনার নামটা জানা হয় নি..যদি কিছু না মনে করেন.."
"শান্তনু..শান্তনু সেন।"
"আমি অনিরুদ্ধ.." নিজের পরিচয় দিতেই উনি বললেন,
"আমি আসি..ঘুমাবেন না। জমিয়ে কিছুক্ষন আড্ডা মারবো কিন্তু।"
এত প্রাণোচ্ছল মানুষটা..! বেশ লাগলো আলাপ করে..।
উনি চলে যেতেই ভদ্রমহিলাকে বললাম,"
আচ্ছা ...কিছু যদি না মনে করেন,একটা কথা জিজ্ঞাসা করি?"
"বলুন.." এতক্ষন পর উনি একটু হাসলেন।
"শান্তনুবাবুর কি কোনো সমস্যা আছে..?" আমার
এই বদ অভ্যাসটা বরাবরের। এই জনসমুদ্রে নুড়ি পাথর কুড়িয়ে পেলে সেটা খুঁটিয়ে না দেখলে
আমার যেন ভিতরে কেমন একটা অস্বস্তি হয়।
আসলে কত মানুষের কত বিচিত্র জীবন কাহিনী..!বাইরে কারোর সঙ্গে আলাপ হলেই মনে হয়,
ছোট গল্প পড়ছি।
"কেন বলুন তো?" কিছুক্ষন চুপ করে উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন।
মুখে চোখে বিরক্তি বোধ নয়,একটু চিন্তিত হয়ে গেলেন.. বুঝলাম।
"আসলে খড়গপুরে..."
"সমস্যাটা আজকের নয়.."
"তাই নাকি? কত দিনের?"
"আমাদের বিয়ে হয়েছে ,তা প্রায় আট বছর হবে..। তখন থেকেই দেখছি..."
"কি দেখছেন?" আমার তর সইলো না।
"ওর প্রচন্ড নাক ডাকার অভ্যাস।"
"সেতো আমারও অল্পবিস্তর আছে..।"
"ওর নাক ডাকাটা একটু অন্যরকম। প্রথম দু এক বছর আমি ওর পাশে ঘুমাতে পারতাম না।
এত গর্জন। ডাক্তার দেখিয়েছে অনেকবার।কিন্তু কোনো সুরাহা হয় নি।ওকে বললেই বলতো,
তুমি আমার পাশে না শুলেই তো পারো।
বুঝতে পারতাম,ও আনইজি ফিল করছে।"
মৌসুমী সেন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে চললেন...।আমার চোখের পলক পড়া বন্ধ হয়ে গেল। হাঁ করে গিলতে লাগলাম।উনি থামতেই নিজের অজান্তে
মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল,"তারপর..?"
"এইভাবে জলের মতো কটা বছর কিভাবে যে কেটে গেলো বুঝতেই পারি নি। মাম্মাম আসার পর ওকে নিয়ে ব্যস্ততায় ওর সমস্যাটা প্রায় ভুলতে বসেছিলাম।আত্মীয়স্বজনরা ওর নাক ডাকা নিয়ে কত হাসাহাসি করেছে..!আমি মুখ বুজে সহ্য করেছি। কিন্তু নিজের হাসবেন্ড বলে বলছি না..এমন সহজ ও দরাজ মনের মানুষ সত্যি পৃথিবীতে বিরল। ওর সঙ্গে আপনি দুদিন মিশলে না ভালোবেসে থাকতেই পারবেন না।"
"এখন কি অন্য কোনো সমস্যা..?"
আমার প্রশ্নের উত্তরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উনি আবার শুরু করলেন,"আগে নাক ডাকার আওয়াজে একটা স্বাভাবিকত্ব ছিল...বুঝলেন? কিন্তু মাস তিনেক আগে একদিন রাতে নাক ডাকার মাঝে 'ঘড় ঘড়' করে একটা অতিরিক্ত আওয়াজ কানে আসতেই ওর পাল্স রেট চেক করলাম।
"বেশি না কম?"
"অনেক বেশি..প্রায় একশো দশ। আমি কালবিলম্ব না করে দিদিকে ফোন করলাম। দিদি আমার রায়পুরে থাকে।জামাইবাবু ডাক্তার। আগে দিল্লি এইমসে ছিলেন। মাস তিনেক রায়পুরে ট্রান্সফার হয়েছেন। হার্টের বড় ডাক্তার।"
"দিদি কি বললেন?"
"দিদি নয়,সেই রাতে জামাইবাবু ফোনটা ধরলেন। সব খুলে বলতেই উনি বললেন,'শান্তনুকে একবার নিয়ে আসতে।' ও কিছুতেই রাজী হচ্ছিল না জানেন। অফিসের ছুটির অজুহাত। অনেক কষ্টে এবার রাজী করিয়েছি....."
"রায়পুরে আমারও দিদির বাড়ি...."
"তাই নাকি? বাঃ...খাসা খবর। ভাই ফোঁটার দিন হাজির হবো। দিদিকে বলে রাখবেন..।"
শান্তনুবাবু একগাল হেসে বলতেই আমি একটু চমকে উঠলাম। মন দিয়ে শুনছি,তাই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছি বুঝতে পারলাম।
"অবশ্যই। যাবেন কিন্তু। আমি দিদিকে বলে রাখবো.." আমার কথায় খুশী হয়ে আমার হাতটা ধরে ফেললেন শান্তনুবাবু।
এমন প্রাণচঞ্চল মানুষ সত্যি আমি কম দেখেছি।
ওনার চোখে চোখ রেখে বললাম,"ভাইফোঁটার
দিন তাহলে দেখা হচ্ছে..."
পরের স্টেশন টাটানগর। আজকের দিনের শেষ স্টেশন। আমি উপরের বার্থে উঠে পড়লাম। আবিরের 'হর হর ব্যোমকেশ' সিনেমাটা দেখতে দেখতে রাতটা ভালোই কাটবে।
বাবা দিদির বাড়ি থেকে ঘুরে গিয়ে গল্প করতেন আমাকে,নিঝুম রাতে ট্রেনে গেলে মনে হয়..
একটা আস্ত অজগরের পেটের ভিতর শুয়ে আছি..
বুঝলি?এইসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন যে 'ঘুমেশ্বর' ঘাড়ের উপর চেপে বসেছে...
টের পাই নি।
গভীর রাতে আচমকা ঘুমটা গেল ভেঙে। বুঝলাম,কেউ আমার পা ধরে জাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন। চোখ খুলতেই দেখি মৌসুমী সেন। ওনার চোখ দিয়ে জলের ধারা গাল বেয়ে নেমে চলেছে স্রোতের মতো। অথচ মুখে কোনো শব্দ নেই। আমি ধড়মড় করে উঠে পড়লাম। আমার চঞ্চলতা দেখে উনি ডান হাতের তর্জনী নিজের ঠোঁটে বসিয়ে আমাকে শান্ত হতে বললেন।
"কি হয়েছে?" আমি ডান হাতের ইশারায় ওনাকে বোঝাতে চাইলাম।
"আপনি নীচে নামুন প্লিজ..." ওনার করজোড় মুখে অনুরোধের ভাষাটা আমার বুঝে নিতে অসুবিধা হলো না।
নীচে নামতেই উনি আমার কানের কাছে মুখটা
নিয়ে এসে কাঁপা গলায় অস্ফুট স্বরে বললেন,
"ও আ..র নে..ই !"
শুনেই মাথাটা ঘুরে গেল বুঝতে পারলাম। সামনে একটা রড ধরে নিজেকে সামলে নিলাম। চোখের জলে আবছা হয়ে যাওয়া দৃষ্টিতে দেখলাম শান্তনুবাবুকে। নিশ্চিন্তে ঘুমের দেশে চলে যাওয়া একটা মুখ। শান্ত...মুখে যেন সন্ধ্যার সেই হারিয়ে যাওয়া হাসিটা লেগে আছে তখনো নিবিড়ভাবে। আদরের পাপার বুকে তখনো নিশ্চিন্তে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে মাম্মাম। হে ঈশ্বর..জীবনে এমন দৃশ্যও আমাকে দেখতে হলো। বুকের মধ্যে কান্নার একটা জোয়ার এলো। সামলে নিলাম নিজেকে।
"মাম্মামকে আপনি খুব আস্তে ওর কাছ থেকে তুলে নিন। সাবধান..ও যেন জেগে না যায়। এই মুহূর্তে বিষয়টা জানাজানি হলে বিপদে পড়ে যাবো। আমি রায়পুরে দিদিকে ফোন করছি। ও নিশ্চয়ই একটা ব্যবস্থা করবে। ততক্ষণ...."
আর কিছু বলতে পারলেন না মৌসুমী সেন। মুখের মধ্যে ওড়নার অংশ গুঁজে দিয়ে জোর করে সুনামির মতো বেরিয়ে আসা কান্নাকে থামালেন। প্রকৃতিকে হয়তো এইজন্যই মেয়েদের সাথে তুলনা করা হয়। শত দুঃখেও অবিচল,অনড়।
ট্রেনটা হঠাৎ থেমে গেলো। রাত জেগে অপেক্ষা করা কোনো স্টেশন এলো হয়তো। ট্রেনের চাকার আওয়াজটা মনে হলো থেমে গেলো শোকে বিকট শব্দ করে।
মাম্মামের ডান হাতের কচি মুঠোয় তখনো আটকে আছে শান্তনুবাবুর কলারের অংশ।আমি খুব
সাবধানে ওকে ওর পাপার বুক থেকে তুলে নিলাম।মিডল সিটটায় ওকে শোয়াতে যাবো..এমন সময় মৌসুমী সেন বলে উঠলেন,"ওকে ওর পাপার মতো করে বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকুন,না হলে ও জেগে যাবে.. সবে পৌনে চারটে বাজে। এখনো অনেক পথ..!"
আমি সম্মোহিতের মতো ওনার কথা অনুসরণ করলাম।
আমরা শুধু দুটো প্রাণী নিদ্রাহীন প্রতিটা কঠিন মুহূর্ত পা ফেলে ফেলে যেন এগুতে লাগলাম এক বিষন্ন সকালের দিকে।
শত চেষ্টা করেও ভুলতে পারি নি সেই অভিশপ্ত রাতের কথা। এক আনন্দঘন সন্ধ্যা দুর্যোগের ঘন কালো মেঘে আবৃত হয়ে কিভাবে রূপান্তরিত হয়েছিল বিষাদভরা সকালে ..তার স্মৃতি আজও টাটকা আমার কাছে...!