বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের কথারা অন্ধকারের সাথে গল্প করতে করতে কখনোআটচালা হয়ে উঠিদূরে সরে যায় বিশ্বাসঘাতক অবয়বপ্রতিবেশী মুখগুলো পাশে থাকবে বলেও, বয়ান পালটে হঠাৎ মুখোশ পরে নেয়নি:সঙ্গতার পাতায় অশ্রু জমতে জমতে একদিন হয়ে যায় স্ফটিকআত্মকথনে রত হতে হতে আমি বটগাছ হয়ে উঠিকবি অদ্রিজা মণ্ডল আলিশা, পূর্ব বর্ধমান,...
হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিন নিবেদিত 'জমকালো রবিবার ৩' সংখ্যার লেখকসূচি: কবিতা: সিদ্ধার্থ সিংহ, অনুপম দাশশর্মা, রবীন বসু, সূর্য মণ্ডল, মহম্মদ সামিম, দেবার্ঘ সেন, সুধাংশুরঞ্জন সাহা, রুমা ঢ্যাং অধিকারী, অন্তরা দাঁ, অমর্ত্য দত্ত, তুলসীদাস ভট্টাচার্য, শুভ্রাশ্রী মাইতি, সাত্যকি, সমর সুর, বিশ্বজিৎ দাস, স্বপঞ্জয় চৌধুরী, নাসিম বুলবুল, সৌমিত্র শীল, সুকুমার...
যেভাবে দৃশ‍্য তৈরি করে অচেতন প্লাবনবিষণ্ণতার রং কী। ধূসর, বাদামী না কী-পাংশু কিংশুক?জানা নেই। অথচ নুয়ে পড়ে ঘাড় গভীর আচ্ছন্নতায়।ভাবি, তন্দ্রাচ্ছন্ন গহীনে যে অসীম প্রসারতা তা কীভেঙে দিতে পারে জৈব যাতনার সমগ্রকে।ধুয়ে যায় বৃষ্টিজলে যে-সব দাক্ষিণ্যতা তাকে ফিরতে দেখিনি ষাঁড়াষাঁড়ি বানে।মধ‍্যরাতে দূরে প‍্যাঁচার ডানা ঝাপটানোর শব্দ...
ঘুমগ্রন্থি এবং ১/ এই সেই ঢেউখেলানো অফুরন্ত ঘুমের স্বপ্নবাসরযেখানে পূর্ণিমার ধর্মসভায় জাদুকর নামেন সৈকতেজলের প্যাঁচে মিশে যাওয়া তেষ্টার অনুঘটকেযিনি বেড়ে দেন জ্যোৎস্নাগঙ্গা এমন স্বপ্নের হরফে বেজে ওঠে রাতের নূপুরপাঠ করি বিষণ্ণ লোপাটের নামতা ২/ অনর্থক তবু দূরে দাঁড়িয়ে থেকে লিখে রাখে তালপাতার বিন্যাস। এ নিঃসঙ্গ পাণ্ডুলিপিবিষণ্ণতা তো এক সজাগঘুমের গান। কুয়োর...
বালিশবালিশের নীচে লুকিয়ে রাখি জলোচ্ছ্বাস বালিশের নীচেলুকিয়ে রাখি অবাঞ্ছিত আদর  এমনকি খুনের ইচ্ছে সে ক্ষমা শূন্য চোখে গ্রহণ করে আমার সকল অপরাধ।কবি সূর্য মণ্ডল পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত  ...
অর্পণ পুরনো অভ্যাসবশে সয়ে নিয়েছি বিষণ্ণ ঘুমফেলে আসা অপেক্ষার ক্ষণ, অশ্রুকথাবালিশ থেকে মুছে গেছে কান্নার দাগ।রাতের আকাশ বিছিয়ে রাখে নক্ষত্র-বিলাসগহিন অরণ্যময় হয়ে আছে মৃত্যুহীন প্রহরদুটি পেঁচা ডেকে ওঠে, ডুকরে ওঠে হৃদয়শীতল হাওয়া বয়ে যায় চোখের পাতায়বেদনায় রক্তক্ষরণ না হলে গাঢ় হয় না জীবনতাই বারবার...
আচ্ছন্নতাতন্ত্রের কেশ ধরে কে যেন টানছেঅধিকার বিলাসী ঘুমের ভেতর।আমি হাত নেড়ে চলেছি আবেশে আবেশে..তুমি বুঝি এসে বসলে ওষ্ঠের ওপর,দূরতম অধর দ্বীপ, অসংখ্য টিলা..একনিষ্ঠ আয়ু জ্বর।আজকাল আর ঘুম হয় না জানো,গলা দিয়ে শুধু নেমে যায় একটাকালসর্প আচ্ছন্নতা..অদূরেই ফোঁপায় কাঙাল বল্কলধারীসোহিনী সম গাছ।ভাবি কি নামে...
আলো আঁধারের খেয়াএকটা বইয়ে মুখ ডুবিয়ে বসে আছে দিয়া। রাত নেই, দিন নেই বই পড়ছে সে। কখনও পড়ার বই কখনও গল্পের বই। বাবা মারা যাবার পর থেকেই এমনটা হয়েছে দিয়ার। সারাক্ষণ মন খারাপ। এক বিষণ্ণতার অন্ধকারে সে যেন ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে একটু...
মূষিক বৃত্তান্ত একটা ইঁদুর ঘরময় ছুটোছুটি করছে । এরপর একে একে আরও অনেকগুলো এসে জুটবে। রাত যত বাড়বে তত দলে ভারী হবে তারা।বেলাগাম ঔদ্ধত্য আর কাকে বলে! সারা রাত ধরে কী যে লাফালাফি দাপাদাপি! রোজই করে। অন্ধকার ঘরে আমার একচিলতে বিছানা। শুয়ে শুয়ে রোজই...
আস্তরণের ঘুমবাসর১.বিষণ্ণতার আমন্ত্রণ হোক বা অন্ধ রাত্রির নৈবেদ্যঅথবা পালকলাগানো ঘুমবাসরের প্রিয় ঘুম,সবটাই জটাজটিল ছেড়ে দুয়ার খুলে দাঁড়ায়ঘুমিয়ে পড় বলে চুপি প্ররোচনায়,কেন যে এই বাঁধা দিনেরা ঝিমোয়,অজানা...২.সর্বময় রাত্রিযাপন এখন ক্লান্তির কফিনছায়াস্তৃত শুধু একখানা মুখ দুরন্ত চোখে,বারংবার অকৃপণ আকাশ হয়ে গোপনে ডাকে...বিদ্যুত্ বাসরে মায়া ভিজে...
কারা যেন আসেমাঝেমাঝেই কারা যেন এসে রক্তে বিষ ঢেলে চলে যায়আমি সারারাত ছটফট করি।দেখি আমার বিছানার পাশে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নদী ভেসে যাচ্ছি ভেলার মতন।মাঝেমাঝে কারা যেন এসে সারারাত মাথার ভিতর অদ্ভুত রকমের শব্দ করে ।করোটি খুলে দেখি অস্পষ্ট পায়ের ছাপ সারারাত আমি পায়ের ছাপ দেখে আমার অতীত...
সংগীতসুধা স্নান সেরে ঘরে ঢুকল বুলু। মা এখনো পাশবালিশ আঁকড়ে অঘোরে ঘুমোচ্ছে। জানলা দিয়ে রোদ এসে ভেসে যাচ্ছে বিছানা। মায়ায় বুকটা ভরে গেলো কেমন যেন! পর্দাটা  টেনে দিয়ে আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো ।                   ...
বিষণ্ণতা ও প্রিয় ঘুম মাথায় যেন পিন ফুটছে। বেসিনে টপ্ টপ করে জল পড়ছে। শেফালিদি আবার বাসন ধুয়ে ট্যাপটা বন্ধ করতে  ভুলে গেছে। বলে বলে আর পারা গেলনা, পিসিমা বলেন, মা বলে, অনল নিজেও কতবার বলেছে,তবু এ স্বভাবে শেফালিদির শোধরাবার নয়।এতদিন তাদের সংসারে...
মরচে পড়া রাতথলে ভরতি জংধরা প্রলেপের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেখে নিচ্ছি মরচে পড়া রাতের সিম্ফনিকে যায় কে আসে শীতল জলবায়ুর পথ ধরে অ্যালুমিনের ফুটো থালায় সূর্য দেখি রাতের আয়নায় ঝুলে পড়া চামড়ার নিচে নিরালা দ্বীপ শ্বাপদের চোখে জ্বলে ওঠে চারণভূমি মাংসাশী পায়ের ছাপ বুকে নিয়ে আজও ঘুম ভাঙে মাঝরাতে তালুর...
স্বপ্ন সন্ধে না‌মে হৃদয় প্রা‌ন্তি‌কে                                        শরীর মা‌ঠে জ্যোৎস্না ভে‌সে যায় ।                          সময় দু'‌চোখ...
বিষণ্ণতাচাহিদার বাজার উড়ে গেলেই চৌমাথা মোড়ের সবজি কাকি মা'রআঁচলে নেমে আসে অনির্বাচিত বিষণ্ণতার ঢেউ ।ঝড়ে বাসা ভাঙা পাখির মতো অস্থির মন,ভাড়া দোকান ঘর সামনে থরে বিথরে সাজানো সবজি ডালায় সত্তরোর্দ্ধ গালের মতো চুপসে বসে আছে ঝাপসা দেখায়,চোখে চশমাতারপরও মহানন্দার জল বড্ড ঘোলা হয়ে           ...
স্বপ্নআমার স্বপ্নে দেখা এ রকম লালল মেলা কিআদৌ পৃথিবীতে হয়!জল খেতে উঠেই আবার ঘুমিয়ে পড়িবাকিটা দেখার জন্য। অথচ ওটা নয়, দেখি--- অন্য এক অকল্পনীয় মজাদার গ্রহের কাহিনি।টয়লেট সেরে এসে চটপট শুয়ে পড়ি আবারওই গ্রহের সুন্দর সুন্দর পাখিগুলোকেআরও একবার মন ভরে দেখব বলেকিন্তু যেই শুই কোথায় সেই...