উফ্ আর পারি না !
ল্যাপটপে গোঁজা মাথাটায়
মেমোরি প্রায় ফুল,
অফিসের ওয়ার্ড ফাইলে
জীবন যেন পদ্মপাতায় জল!
প্রিন্টারের কালো কালিতে
ছাপা বিবর্ণমুখ !
উইন্ডো'টা খোলা আছে,
এক ঝরোখা মিষ্টি হাওয়া-
আসে ঐ পথেই।
কি-বোর্ডে আঙুলের আলতো ছোঁয়ায়
ভেসে ওঠে স্ক্রিনে সিক্ত উষ্ণ অধর।
গলায় লিপস্টিকের দাগ
হাই লাইট হয়,
ভেজে মন, ভেসে ওঠে প্রেম।
সিপিইউ'এ তখন
প্রাপ্তির নীরব প্রত্যাশা,
পাসওয়ার্ড দিতেই
সাগর পারে আছড়ে পরে ঢেউ প্লাবিত হয় বাসনাগুলো।
গুটি পায়ে নোনাজল পেরিয়ে
আসে ভার্চুয়াল প্রেম সি-ড্রাইভে;
হৃদয়ের অতলান্তিক গভীরে
বাবুইয়ের মত বাসা বোনে,
ঠাঁই করে নেয়
এন্টি ভাইরাস ফাইলের মত।
সারভারে পুঞ্জীভূত হয় প্রেমিক মন
ঈশান কোনে জমে ওঠে মেঘ,
বৃষ্টিধারায় ভিজতে থাকে
প্রেমিকার স্তন আর নাভি।
তৃষিত প্রেমিক অনুভব করে
ওয়ান জিবি সম্ভোগের তৃপ্তি
নীল জোছনায় ।
প্রেমের অস্তিত্ব আকাশ প্রদীপ হয়, জ্বলে অবকাশে। সুখ হারায় রিসাইকল বিনে।
নশ্বর ১
অল্প সময় কথা হচ্ছে।হলুদ রঙে ধুলো পায়ে ম্লান বালক ফিরে আসছে,ধূসর লোক এবং রাস্তা সম্বন্ধীয় চুপ ক্রমশ বাড়ছে,সম্পর্কহীন,স্পর্শশূণ্য..
বালিকা মেয়ে কম্প হতে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ঠাকুর নম করছে। পড়া - বই এগিয়ে আসছে দাওয়ায়।
রাত্রি নেমে এলে, দেওয়াল একটা কাপড় তোমার ঘর--শরীর, খোলা আয়নায় আগুনের গল্পে কথা বলে, নীল...
কুয়াশা ঘন,ঘোর রহস্যের গোপন অন্ধকার খেলে বেড়ায় তোমার অলৌকিক শরীরে কোথাও...
নিউজ চ্যানেলের কভারেজ এখন প্রায় শেষ হয়ে গেছে,দমকলের আরেকটা ইঞ্জিন এসে গেছে হাওড়ার নিকটবর্তী একটি চটকল লাগোয়া বস্তির নিভে আসা লেলিহান অগ্নিশিখার তেজ মেটাতে,যা কিছুক্ষন আগে তজনজ করে দিয়েছে বস্তির অধিকাংশই,ঢলে আসা শেষবেলায় অবশিষ্ট কিছু আছে কিনা তা দিয়ে সম্বল করে নতুন করে আস্তানা খোঁজার তাগিদে এগিয়ে চলেছে গননার খাতার কিছু আবেগ মাখা মৌলিক সংখ্যার মানেরা।তাদের বুকে বল বলতে প্রশাসনিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস টুকু! শেষ বেলার আপাতত শেষ রিপোর্ট" আগুন বর্তমান নিয়ন্ত্রণের মধ্যে,ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সামান্যই কিন্তু হতাহতের কোনো খবর নেই।
চৌরাস্তার লাগোয়া চায়ের দোকানে খবরে কাগজ পড়ছে কিছু মানুষ,কাগুজে দৃষ্টিতে আপাতত সামান্য অগ্নিসংযোগের খবর নিয়ে হাহুতাশ তর্ক - বির্তকও চলছে মৃদু আঁচে,চায়ের দোকান লাগোয়া ফুটপাতের নতুন সদস্যরা শুনছে আর শিহরিত হচ্ছে,উদাস হচ্ছে নিয়তির পরিহাসে। তাদের কিশোর ছেলেটা ভাবছে - ফুঁসছে উওর খুঁজে চলেছে নিজের মনের অন্তরালে জগতের মায়ার,ঈশ্বরের;যার মহীমার গল্প ছোট থেকে শুনে আসছে,আর নানা কুন্ডলীকৃত ধোঁয়াটে ভাবনার বয়ঃসন্ধিকালের উন্মুক্ত মস্তিষ্কে।অযান্ত্রিক চোখে সে ভাবছে আর চেয়ে দেখছে রোজকার সেই রাস্তাকে যা সে রোজ দেখে কিন্তু আজ দেখছে তাকে আরো স্থায়ীভাবে স্পষ্টভাবে,তারপর একবার চোখ গেল রাশি রাশি ধোঁয়া উড়ে যাচ্ছে আকাশময় কালকের মতন কিন্তু অতটা গাঢ় কালো নয়,তারপর দূরন্ত কিছু পথিকদের ছুটে চলাকে,তারপর চোখে এল একটা ছোট্ট মন্দির দেখেই চোখ ঘুরিয়ে নিল ঘৃনাভরে,হঠাৎ চোখে পড়ল একটা বড়ো একটা সুন্দর স্নেহ মাখা স্নিগ্ধতা শোভনীয় মুখ চেয়ে আছে তার দিকে,আপাত দৃষ্টিতে মনে হল তার,তার ওই কিশোর দৃষ্টিতে;সে চেয়ে থাকল হা করে মুগ্ধ হয়ে।
দেখতে থাকল রোজ হা করে মনে ভরে আপাতত তার সাথে ওর কোন কথা হয়নি,তাকে দেখেই মনের পুলক সে ভরিয়ে নিত, এই মগ্নতার জন্য অবশ্য তাকে অনেক কাঠখোরও পোয়াতে হয় সেদিন মা এর কাছে এক চড় খেতে হল এটা অবশ্য তাদের জীবনে নতুন নয় তবুও তার বিরহ ভঙ্গের কারণে তার ভিতরে রাগও হয়,সেদিন নতুন চায়ের দোকানে মালিকের কাছেও খেল সজোরে এক লাথি,তবুও মেনে নিতে হয় সেই মালিকই তো এখন ওকে খাওয়াচ্ছে তার বদলে কিছু কাজ করতে হচ্ছে দুনিয়ার গতানুগতিকতায়।
অয়েল পেইন্টিং এর চারা গাছ গুলো বেড়ে উঠছে তরতর করে
বেহালা বাদক আমার সব ইতিহাস জেনে নিয়েছে আনফ্রেন্ড কলে
নিশুতি চ্যাটিং করতেই আমার নাম ভেসে উঠল মৃত মানুষের পাশে , চোখটি কটকটে লাল
আমি কি তাহলে বারানসীর ঘাটে কাউকে পোড়ালাম কাঠের অভাব সত্ত্বেও
অথচ গঙ্গার ঘাটের নিচে কেউ পা ঝুলিয়ে যক্ষা রোগের অস্থি নিমজ্জিত করল
অর্জুনগাছ আমাকে সান্তনা দেয়
এই তো দেখো কয়েক মিলিমিটার দূরে পান্থপাদক রোপণ করেছি জমাট মাংসপিন্ডের জন্য , ভুল করে যাকে সবাই বৃত্ত বলো
শিরাবিন্যাস গুলো কেমন যেন পাখির মতো উড়ছে
তুমি তার কাছে যাও সে তোমাকে নীলকন্ঠ পাখির একটি হেরো চেহারা দেবে
নিরক্ষীয় স্নানের মৃত সন্তানেরা এবরশানের সব গোপনীয়তা জানে
অগাধ প্রশ্ন বিচিত্রায় তুমি শুধু পাতাবাহার রোপন করেছ কচুরিপানার প্রবাহে
আমাকে কোনদিন একটি বিষের বোতল দাও নি
যাকে ভুল করে খেয়ে শান্ত হয়ে যায় সকল প্রাণী অথবা পুনর্জীবন ঘটে নিরাময় সদনে
তিন ফুট দরজার কাছে সবাই বর্ণহীন
— মায়ের জন্য।
—জানেন বাবু কতদিন আমার মা আমায় ছেড়ে চাঁদের দেশে চলে গেছে। সেই দিন থেকেই আমি একা।
— জানিস, এই যে গোটা পৃথিবী দেখছিস- তোর যে চোখের জল তার কেউ মূল্য দেবে না রে।আর তা ছাড়া মা কি কারোর চিরকাল বেঁচে থাকে? তাই চল তোকে বাড়ি রেখে আসি।
— তুই কি করতে চাস বল আমায়। আমি তোর পাশে থাকার চেষ্টা করবো।
আসলে রামেশ্বরও বাবা ও মাকে হারিয়ে একা থাকে। একটা ঘরও বানিয়েছে।সংসারও করেনি।তাই মা হারা ছেলেটিকে দেখে তারমধ্যে যেন অপত্য স্নেহ জন্মলাভ করেছে। তাই ছেলেটিকে সন্তান হিসেবে মনে মনে স্বীকার করে নিয়েছে। তাই বারবার ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে—
— সত্যি বাবু? আমার পাশে থাকবে?
— বললাম তো! বল তুই কি চাস?
— আমি আর বাড়ি যাবো না বাবু। তোমার কাছেই থাকব। আমি শুধু মায়ের আদর্শে বড়ো হব।কি বাবু পারবে তো?
— মা তো মা-ই। মা-র মত কি তোকে মানুষ করতে পারব? তুই আজ থেকে আমার কাছে থাকবি।আজ থেকেই দুজনই মায়ের আদর্শে বড়ো হব। কি তাই তো?
ব্লগ সংরক্ষাণাগার
🔴বিজ্ঞপ্তি:
এক মাসের সর্বাধিক পঠিত পোস্টগুলি:
বিষয়সমূহ
- অণু কথারা 21
- আবার গল্পের দেশে 8
- উৎসব সংখ্যা ১৪২৭ 90
- একুশে কবিতা প্রতিযোগিতা ২০২১ 22
- এবং নিবন্ধ 3
- কবিতা যাপন 170
- কবিতার দখিনা দুয়ার 35
- কিশলয় সংখ্যা ১৪২৭ 67
- খোলা চিঠিদের ডাকবাক্স 1
- গল্পের দেশে 17
- ছড়ার ভুবন 7
- জমকালো রবিবার ২ 29
- জমকালো রবিবার ৩ 49
- জমকালো রবিবার ৪ 56
- জমকালো রবিবার ৫ 28
- জমকালো রবিবার ৬ 38
- জমকালো রবিবার সংখ্যা ১ 21
- দৈনিক কবিতা যাপন 19
- দৈনিক গল্পের দেশে 2
- দৈনিক প্রবন্ধমালা 1
- ধারাবাহিক উপন্যাস 3
- ধারাবাহিক স্মৃতি আলেখ্য 2
- পোয়েট্রি স্পিকস 5
- প্রতিদিনের সংখ্যা 218
- প্রত্যাবর্তন সংখ্যা 33
- প্রবন্ধমালা 8
- বিশেষ ভ্রমণ সংখ্যা 10
- বিশেষ সংখ্যা: আমার প্রিয় শিক্ষক 33
- বিশেষ সংখ্যা: স্বাধীনতা ও যুবসমাজ 10
- ভ্রমণ ডায়েরি 1
- মুক্তগদ্যের কথামালা 5
- রম্যরচনা 2
- শীত সংখ্যা ~ ১৪২৭ 60
- Poetry speaks 2